নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৮
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনার পর অভিযানে নেমেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশ’সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর নয়জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।